মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন | Accounting Theory & Practice

মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন ক্লাসে আলোচনা করা হয়েছে মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেনের ধারণা, মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেনের পার্থক্য, মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেনের পার্থক্যের প্রয়োজনীয়তা, লাভ ক্ষতি পরিমাপ এবং আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতকালে মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন সমূহের যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে।

মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন – ধারণা, পার্থক্য [ Capital and profit type transactions – ideas, differences ] ক্লাসটি এসএসসি তথা ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর [ SSC Class 9 10 ] হিসাববিজ্ঞান [Accounting) তথা, ৩য় অধ্যায় [ Chapter 3 ] এর ক্লাস যার অধ্যায় শিরোনাম “হিসাববিজ্ঞান [ Accounting ]”।

 

মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন

ব্যবসায়ের সকল লেনদেন দুই ভাগে বিভক্ত, মূলধন জাতীয় ও মুনাফা জাতীয়। মূলধন জাতীয় লেনদেনের সুবিধা ভোগের মেয়াদ মুনাফা জাতীয় লেনদেন অপেক্ষা অধিক। মুনাফা জাতীয় লেনদেন যেখানে নিয়মিত সংঘটিত হয়, সেখানে মূলধন জাতীয় লেনদেন অনিয়মিত। এরূপ আরও কতিপয় দিক/বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এই
দুই ধরনের লেনদেনকে পরস্পর পৃথক করে। লেনদেনের ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা দেখেছি – লেনদেনটি নগদ না অনগদ; লেনদেনটি দৃশ্যমান না অদৃশ্যমান প্রভৃতি বিষয়। লেনদেনসমূহকে নিম্নোক্ত অবস্থা থেকে বিবেচনা করা যায়-

 

মূলধন ও মুনাফা জাতীয়

 

যে সকল লেনদেন হতে দীর্ঘমেয়াদি (১ বছরের অধিক) সুবিধা পাওয়া যায়, যার টাকার অঙ্ক অপেক্ষাকৃত বড় এবং লেনদেন নিয়মিত সংঘটিত হয় না, তা মূলধন জাতীয় লেনদেন। অপরদিকে, যে সকল লেনদেন হতে স্বল্পমেয়াদি সুবিধা পাওয়া যায়, লেনদেনের টাকার অঙ্কের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত ছোট কিন্তু নিয়মিত সংঘটিত হয় (নির্দিষ্ট সময় পর পর), তা মুনাফা জাতীয় লেনদেন ।

 

 

মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি ও আয়

যে সকল প্রাপ্তি অনিয়মিত, টাকার পরিমাণ বড় এবং এক বছরের অধিক সময় সুবিধা ভোগ করা যায়, তাই মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি। ব্যবসায়ে মূলধন আনয়ন, ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ, স্থায়ী সম্পদ (আসবাবপত্র, জমি, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) বিক্রয় প্রভৃতি মূলধন জাতীয় প্রাপ্তির উদাহরণ। মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি ও মূলধন জাতীয় আয় একরূপ মনে হলেও কিছুটা পার্থক্য বিদ্যমান। মূলধন জাতীয় আয় মূলধন জাতীয় প্রাপ্তিরই একটি অংশ।
মূলধন জাতীয় আয়ও প্রতিবছর হয় না এবং উদাহরণও খুব বেশি নেই।

কোনো যন্ত্রপাতি কয়েক বছর ব্যবহারের পর যদি বিক্রয় করা হয়, সেখান থেকে কিছু আয় হতে পারে। ধরা যাক একটি পুরাতন যন্ত্রপাতি বিক্রয় হলো ৮০,০০০ টাকা এবং এর ব্যবহার পরবর্তী বর্তমান মূল্য ৬৫,০০০ টাকা। এখানে মূলধনী আয় হয়েছে ১৫,০০০ টাকা (৮০,০০০–৬৫,০০০) লক্ষ রাখতে হবে যে মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি ৮০,০০০ টাকার সবটুকুই মূলধন জাতীয় আয় নয় ৷

 

অ্যাকাউন্টিং থিউরি এন্ড প্র্যাকটিস সূচিপত্র
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মূলধন জাতীয় ব্যয়

যে সকল ব্যয় অনিয়মিত, টাকার পরিমাণ বড় এবং ১ বছরের অধিক সময় সুবিধা ভোগ করা যায়, ঐ সকল ব্যয়ই মূলধন জাতীয় ব্যয়। স্থায়ী সম্পদ (জমি, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি ইত্যাদি) ক্রয়, স্থায়ী সম্পদ ক্রয় সম্পর্কিত অন্যান্য খরচ (সম্পদ ক্রয়ের আমদানি শুল্ক, জাহাজ ভাড়া, পরিবহন খরচ, সংস্থাপন ব্যয় প্রভৃতি) মূলধন জাতীয় ব্যয় স্বরূপ গণ্য। এখানে উল্লেখ্য যে সকল ব্যয়ের ফলে সম্পদ সম্প্রসারিত ও আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়, তা-ও মূলধন জাতীয় ব্যয়। যেমন : মেশিন পুরনো হয়ে যাওয়ার পর ১০,০০০ টাকা মূল্যের নতুন যন্ত্রাংশ সংযোজন করে মেরামত করা হলো, ফলে মেশিন সচল হওয়ার পাশাপাশি তার মেয়াদও বৃদ্ধি পাবে। অতএব বলা যায়, যে সকল ব্যয়ের উপযোগিতা বর্তমান হিসাব বছরের পাশাপাশি পরবর্তী একাধিক বছরসমূহেও পাওয়া যাবে, তা-ই মূলধন জাতীয় ব্যয় ।

 

মূলধন ও মুনাফা জাতীয় লেনদেন নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Read More:

Leave a Comment