সমাপনী দাখিলা ও বিপরীত দাখিলা [ Closing Journal Entry ]” আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। “সমাপনী দাখিলা ও বিপরীত দাখিলা [ Closing Journal Entry ]” ক্লাসটি এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) এর সিলেবাসের অংশ। এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইন্যান্স ১ম পত্র (Class 11-12 Finance 1st Paper)” এর “৮ম অধ্যায় (chapter 8)” এ পড়ানো হয়।
সমাপনী দাখিলা ও বিপরীত দাখিলা
সমাপনী দাখিলা কাকে বলে :-
Meigs and Others, “Closing entries is journal entries made at the end of the period for the purpose of closing temporary accounts (revenue, expenses and Owner’s drawings accounts) and transferring balances to the owner’s Capital account”
অর্থাৎ সমাপনী দাখিলা হলো হিসাবকাল শেষে অস্থায়ী হিসাবগুলোকে (আয়, ব্যয়, এবং মালিকের উত্তোলন হিসাব বন্ধ করা এবং উদ্বৃত্ত মালিকের মূলধন হিসাবে স্থানান্তর করার জাবেদা দাখিল)। সুতরাং বলা যায়, হিসাবকাল শেষে আর্থিক বিবরণী প্রণয়নের সময় আয়-ব্যয় বাচক হিসাবসমূহের বন্ধ করে নিট ফলাফল মালিকের মূলধন হিসাবে বা রক্ষিত আয় বিবরণীতে স্থানান্তরের জন্য যে দাখিলা দেওয়া হয় তাকে সমাপনী দাখিলা বলে।
বিপরীত দাখিলা কাকে বলে :-
নির্দিষ্ট হিসাবকাল শেষে যে সমন্বয় দাখিলা দেওয়া হয়, পরবর্তী হিসাবকালের প্রথম বা পহেলা তারিখে তার বিপরীত দাখিলা দেওয়া হয়। হিসাব প্রক্রিয়ার এটি একটি ঐচ্ছিক ধাপ। কোনো প্রতিষ্ঠান তার হিসাব কোড সংখ্যা কমানোর জন্য বিশেষত কম্পিউটারাইজ হিসাব পদ্ধতিতে বিপরীত দাখিলা দিয়ে থাকে।
(ii) অগ্রিম প্রাপ্ত আয় শুরুতেই দায় হিসাবে লিপিবদ্ধ হলে। (iii)অনুমিত দফাসমূহ যেমন- কু-ঋণ, আয়কর সঞ্চিতি এবং অবচয়।
সাধারণত, নিম্নবর্ণিত সমন্বয় দাখিলার ক্ষেত্রে বিপরীত দাখিলা দেখানো যেতে পারে।
(i) প্রদেয় বা বকেয়া খরচ এবং প্রাপ্য বা বকেয়া আয়ের ক্ষেত্রে।
(ii) অগ্রিম প্রদত্ত খরচ যা শুরুতেই খরচ হিসাবে লিখা হয়েছে এবং অগ্রিম প্রাপ্ত আয় যা প্রাথমিকভাবে আয় হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।