নিট মুনাফা নির্ণয় পদ্ধতি | HSC Accounting 1st Paper

নিট মুনাফা নির্ণয় পদ্ধতি আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। “নিট মুনাফা নির্ণয় পদ্ধতি [ Net Profit ]” ক্লাসটি এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) এর সিলেবাসের অংশ। এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইন্যান্স ১ম পত্র (Class 11-12 Finance 1st Paper)” এর “৩য় অধ্যায় (chapter 3)” এ পড়ানো হয়।

 

নিট মুনাফা নির্ণয় পদ্ধতি

 

নিট মুনাফা (net profit)

ব্যবসায়ের সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে এর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যবসায়ের আয়, ব্যয় সম্পর্কে যদি শেয়ারহোল্ডার, অডিটর, ম্যানেজাররা অবগত থাকেন, তাহলে উপযুক্ত কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়া বেশ সহজ হয়ে যায়। সঠিক তথ্য এবং উপাত্তের উপর নির্ভর করে নেয়া এই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা’ও তখন বৃদ্ধি পায় বহুগুণ।

ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা অনুমান করার জন্য নিট মুনাফা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একক। ব্যবসায়টি কি সঠিকভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে নাকি ব্যবসায়টি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা এই একটি এককের দ্বারা’ই বোঝা যায়। নিট মুনাফা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা রাখলে ব্যবসায়ের বিভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সুবিধা হয়।

তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা নিট মুনাফা কি, কিভাবে ক্যালকুলেট করতে হবে এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

মোট মুনাফা নির্ণয়

নিট মুনাফা কী?

ব্যবসায় পরিচালনা সম্পর্কিত যাবতীয় খরচাদি যেমন বিক্রীত পণ্যের ব্যয়, পরিচালনা খরচ, বিক্রয় সম্পর্কিত ব্যয়, সুদ খরচ, অবচয়, ট্যাক্স ইত্যাদি বাদ দেয়ার পর ফাইনাল যে এমাউন্ট অবশিষ্ট থাকে তাকে নিট মুনাফা বলা হয়। মনে করুন, আপনি ১০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করেছেন এবং এই বিক্রয় করা পর্যন্ত আপনার যাবতীয় খরচ করতে হয়েছে ৮০ টাকা। তাহলে আপনার নিট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়াবে ২০ টাকা।

নিট মুনাফা’কে একটি ব্যবসায় পরিচালন থেকে নিট আয়’ও বলা যায়। নিট মুনাফাকে ‘আয় বিবরণী’র একদম শেষে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।

নিট মুনাফা কিভাবে ক্যালকুলেট করবেন?

নিট মুনাফা নির্ধারণ করতে হলে আপনাকে নিচের সূত্রটি ব্যবহার করতে হবে –

মোট আয় – মোট ব্যয় = নিট মুনাফা

অ্যাকাউন্টিং থিউরি এন্ড প্র্যাকটিস সূচিপত্র
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

নিট মুনাফা ক্যালকুলেশনের স্বার্থে এবং ব্যবসায়ের আর্থিক পরিস্থিতি আরো ভালোভাবে বুঝতে আপনাকে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে –

১। মোট আয় নির্ণয় করুন : আপনার ব্যবসায়ের ঠিক যতোগুলো ইনকাম সোর্স আছে, সবগুলো একসাথে যোগ করে মোট আয় নির্ণয় করতে হবে।

২। মোট ব্যয় নির্ণয় করুন : ব্যবসায় পরিচালনার স্বার্থে ঠিক কতো টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে, সেটি গণনা করতে হবে। এইক্ষেত্রে, ছোট থেকে বড় সবধরণের ব্যয় এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যেমন – পণ্য ক্রয়, কর্মীদের বেতন, অফিস ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, অবচয় ইত্যাদি। সবগুলো একত্রে যোগ করে মোট ব্যয় নির্ণয় করতে হবে।

৩। মোট আয় থেকে মোট ব্যয় বিয়োগ করুন : মোট আয় থেকে মোট ব্যয়ের পরিমাণ বাদ দিলেই ব্যবসায়ের নিট মুনাফা সম্পর্কে জানা যাবে। ব্যয়ের তুলনায় যদি আয়ের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে এখানে নিট মুনাফা পাওয়া যাবে। আর যদি আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তবে এখানে নিট ক্ষতি পাওয়া যাবে।

একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরো ভালো করে বোঝা যাক –

এপ্রিলে মাসে আপনার ব্যবসায় থেকে মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ৪,৫০,০০০ টাকা এবং মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২,৮০,০০০ টাকা। তাহলে নিট মুনাফার পরিমাণ কতো হবে?

নিট মুনাফা = মোট আয়সমূহ – মোট ব্যয়সমূহ

সুতরাং, নিট মুনাফা = (৪,৫০,০০০ – ২,৮০,০০০) = ১,৭০,০০০ টাকা

তাহলে এপ্রিল মাসে আপনার ব্যবসায়ের নিট মুনাফার পরিমাণ দাড়ালো ১,৭০,০০০ টাকা।

নিট মুনাফা নির্ণয়

 

নিট মুনাফা নির্ণয় পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Read More:

Leave a Comment