রেওয়ামিল এর ধারণা | HSC Accounting 1st Paper

রেওয়ামিল এর ধারণা আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। “রেওয়ামিল এর ধারণা [ Trial Balance ]” ক্লাসটি এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) এর সিলেবাসের অংশ। এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইন্যান্স ১ম পত্র (Class 11-12 Finance 1st Paper)” এর “৪র্থ অধ্যায় (chapter 4)” এ পড়ানো হয়।

 

রেওয়ামিল এর ধারণা

রেওয়ামিল হলো খতিয়ানস্থিত হিসাবসমূহের উভয় পার্শ্বের যোগফলের ডেবিট ও ক্রেডিট উদ্বৃত্তের একটি তালিকা বিশেষ। খতিয়ানভুক্ত হিসাবসমূহের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনে একটি আলাদা খাতায় বা একখণ্ড আলাদ্য কাগজে সমুদয় হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট জেরগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে যে বিবরণী তৈরি করা হয় তাকে রেওয়ামিল বলে। নিচে রেওয়ামিল প্রসঙ্গে কয়েকজন প্রখ্যাত লেখকের সংজ্ঞা দেয়া হলো-

 

রেওয়ামিল এর ধারণা

 

(i) আর, এন কার্টার এর মতে, “রেওয়ামিল হলো নগদান বই হতে সংগৃহীত নগদ ও ব্যাংক উদ্বৃত্তসহ অন্যান্য খতিয়ানস্থিত হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট উদ্বৃত্তের তালিকা বা ফর্দ।”

(ii) আরওয়েক্সন এন্ড আর জি কক্স এর মতে, “রেওয়ামিল হলো খতিয়ানে রক্ষিত প্রতিটি হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট জেরের একটি তালিকা।”

(iii) ডব্লিউ, বি, মিগস এন্ড আর, এফ, মিগস এর মতে, “সকল হিসাবসমূহের ডেবিট ও ক্রেডিট জেরের সমতা বিধানকারী প্রমাণ পত্রকে রেওয়ামিল বলে।”

উপরিউক্ত আলোচনা হতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, রেওয়ামিল কোনো হিসাবখাত নয় অথবা এটা হিসাবের কোনো অপরিহার্য অংশ নয়। এটা খতিয়ানস্থিত হিসাবসমূহের একটি তালিকা মাত্র। অর্থাৎ যে তালিকায় খতিয়ানস্থিত হিসাবসমূহের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য খতিয়ানের ডেবিট জেরগুলোকে ডেবিট দিকে ক্রেডিট জেরগুলোকে ক্রেডিট দিকে লিখে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করা হয় তাকে রেওয়ামিল বলে।

 

অ্যাকাউন্টিং থিউরি এন্ড প্র্যাকটিস সূচিপত্র
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উদ্দেশ্য :

রেওয়ামিলের উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ :

১। জাবেদা ও খতিয়ানে লেনদেনগুলো সাঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কি না তা যাচাই করা রেওয়ামিলের একটি মূখ্য উদ্দেশ্য।

২। আর্থিক বিবরণী তথা বিশদ আয় বিবরণী ও আর্থিক অবস্থার বিবরণী প্রস্তুত সহজতর করা ।

৩। জাবেদা ও খতিয়ানে কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে তা উদঘাটন ও সংশোধন করা।

৪। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি মোতাবেক জাবেদা ও খতিয়ানে লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।

৫। খতিয়ানের সকল জের এক সাথে থাকে বলে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সময় ও শ্রমের অপচয় রোধ হয় ।

৬। রেওয়ামিলের সাহায্যে কারবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

 

নিট মুনাফা নির্ণয়

 

রেওয়ামিল এর ধারণা নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Read More:

Leave a Comment