মোট ব্যয় | HSC Accounting

মোট ব্যয় আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। মোট -ব্যয় [ Total Expense ] ক্লাসটি এইচএসসি’র একাউন্টিং (HSC Accounting) এর সিলেবাসের অংশ। এইচএসসি’র একাউন্টিং (HSC Accounting) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্র (Class 11-12 Accounting 1st Paper)” এর “১ম অধ্যায় (chapter 1)” এ পড়ানো হয়।

 

মোট ব্যয়

 

কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ উৎপাদনের জন্য যে ব্যয় হয় তাকে মোট ব্যয় বলে। উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লে মোট- ব্যয় বাড়ে এবং উৎপাদনের পরিমাণ কমলে মোট ব্যয় কমে। স্বল্পকালীন সময়ের প্রেক্ষিতে বলা যায়, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত মোট স্থির ব্যয় ও মোট পরিবর্তনশীল ব্যয়ের সমষ্টিই হচ্ছে মোট ব্যয়। অর্থাৎ, মোট ব্যয় = মোট স্থির ব্যয় + মোট পরিবর্তনশীল ব্যয়।

 

মোট ব্যয়

 

সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে পার্থক্য কি?

সঞ্চয় ও বিনিয়োগ ধারণা দুটি অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। উভয় ধারণার মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে পার্থক্যগুলো আলোচনা করা হলো-

  • মানুষের বর্তমান আয়ের যে অংশ ভোগের জন্য ব্যয় না করে ভবিষ্যতের জন্য জমা রাখা হয় তাকে সঞ্চয় বলে। পক্ষান্তরে, সঞ্চয়ের যে অংশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নিয়োজিত হয় তাকে বিনিয়োগ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, সঞ্চয়ের যে অংশ দ্বারা অতিরিক্ত মূলধনি দ্রব্যের সংযুক্তি ঘটে তাকে বিনিয়োগ বলে।
  • সঞ্চয়ের আওতা অধিক প্রসারিত। পক্ষান্তরে, বিনিয়োগের আওতা ছোট।
  • সঞ্চয় মূলত প্রাথমিক অবস্থা নির্দেশ করে। পক্ষান্তরে, বিনিয়োগ সঞ্চয়ের পরবর্তী অবস্থা নির্দেশ করে।
  • উন্নত দেশগুলোতে সঞ্চয় অধিক বলে বিনিয়োগও অধিক হয়৷ অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সঞ্চয় কম বলে বিনিয়োগও কম হয়।
  • সঞ্চয়ের সূত্র হলো : S = Y – C; যেখানে, S = সঞ্চয়; Y = আয়, C = ভোগব্যয়। বিনিয়োগের সূত্র হলো : I = Y – C; যেখানে I = বিনিয়োগ।
  • Y = C হলে, S = I হবে। এ থেকে বলা যায়, বিনিয়োগ কখনো সঞ্চয়ের অধিক হবে না; তবে সমান বা কম হতে পারে।

 

অ্যাকাউন্টিং থিউরি এন্ড প্র্যাকটিস সূচিপত্র
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মোট ব্যয় নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Read More:

Leave a Comment