সরলরৈখিক পদ্ধতিতে অবচয় নির্নয়, জাবেদা ও খতিয়ান বা “৮ম অধ্যায় (chapter 8)” আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। সরলরৈখিক পদ্ধতিতে অবচয় নির্নয়, জাবেদা ও খতিয়ান ক্লাসটি এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) এর সিলেবাসের অংশ। এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইন্যান্স ১ম পত্র (Class 11-12 Finance 1st Paper)” এর “৮ম অধ্যায় (chapter 8)” এ পড়ানো হয়।
Table of Contents
সরলরৈখিক পদ্ধতিতে অবচয় নির্নয়, জাবেদা ও খতিয়ান
অবচয়
অবচয় (ইংরেজি: Depreciation) বলতে ব্যবহারজনিত কারণে সম্পত্তির মূল্য অবনতিকে বলে। হিসাববিজ্ঞানের মিলকরণ নীতি অনুসারে অবচয় ধার্য করা হয়। অবচয় হল সম্পত্তি ব্যবহারের বার্ষিক চার্জ। এটি ধার্যের ফলে সম্পত্তি ও মালিকানা সত্ত্ব হ্রাস পায়। অবচয় ধার্য না করলে সম্পত্তি ও মালিকানা সত্ত্ব বেশি দেখানো হয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে অবচয় গণনা করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে জনপ্রিয় পদ্ধতি গুলো হচ্ছে নির্দিষ্ট শতাংশ পদ্ধতি, সরল রৈখিক পদ্ধতি, ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতি, উৎপাদন ঘণ্টা পদ্ধতি ইত্যাদি। উদাহরণ, এক ব্যক্তি ১,০০০০০ টাকা দিয়ে একটি বাইক কিনলো। বাইকের অবচয় ১০% ধরা হলে, এক বছর পরে ঐ বাইকের সমাপনী মূল্য দাঁড়াবে ৯০০০০টাকা (১০০০০০X১০%=১০০০০টাকা, আবার ১০০০০০-১০০০০=৯০০০০টাকা)। এক বছরে ঐ বাইকের অবচয় খরচ ১০,০০০টাকা।
জাবেদা
হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থায় জাবেদা হল হিসাবের প্রাথমিক বই,যেখানে আর্থিক লেনদেন সূমহ সংগঠিত হওয়ার পর তারিখ অনুযায়ী হিসাবের বইতে সংরক্ষণ করা হয়। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী হিসাবের একপক্ষ ডেবিট এবং সমপরিমান টাকায় আরেক পক্ষকে ক্রেডিট করা হয়। ব্যবসায় এর উপর ভিত্তি করে অ্যাকাউন্টিং তথ্য ব্যবস্থায়, রেকর্ড পালনের জন্য বিশেষ জাবেদা ব্যবহার করা যেতে পারে. যেমন ক্রয় জাবেদা,বিক্রয় জাবেদা,সমন্বয় জাবেদা ইত্যাদি।

খতিয়ান
খতিয়ান হচ্ছে একটি হিসাবনিকাশের পাকা বইতে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় লেনদেনগুলোর বিভন্ন প্রকার পক্ষসমূহকে পৃথক পৃথক শিরোনামের আওতায় শ্রেনীবদ্ধভাবে এবং সংক্ষিপ্তকারে লিপিবদ্ধ করা। এক কথায় খতিয়ান হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের সকল হিসাবের সমষ্টিগত রুপ।
সরলরৈখিক পদ্ধতিতে অবচয় নির্নয়, জাবেদা ও খতিয়ান নিয়ে বিস্তারিত ঃ
Read More: