আয় ও ব্যয় এর প্রকারভেদ আজকের ক্লাসের আলোচ্য বিষয়। “আয় ও ব্যয়ের প্রকারভেদ [ Income and Expenditure ]” ক্লাসটি এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) এর সিলেবাসের অংশ। এইচএসসি’র ফাইন্যান্স ১ম পত্র (HSC Finance 1st Paper) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইন্যান্স ১ম পত্র (Class 11-12 Finance 1st Paper)” এর “৪র্থ অধ্যায় (chapter 4)” এ পড়ানো হয়।
আয় ও ব্যয় এর প্রকারভেদ
আয়
আয় বা উপার্জন বলতে কোন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোন সত্তার ভোগ ও সঞ্চয় করার সুযোগ অর্জন করাকে বোঝায়, যেটিকে সাধারণ অর্থের নিরিখে প্রকাশ করা হয়। আয়কে ধারণাগতভাবে সংজ্ঞায়িত করা দুরূহ এবং এর সংজ্ঞা শাস্ত্র ও ক্ষেত্রভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কোনও ব্যক্তির আয় এবং আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত ব্যক্তির আয় ভিন্ন হতে পারে।
অর্থশাস্ত্রে হেগ-সাইমনস আয় নামক আয়ের সংজ্ঞাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত, যেখানে আয়কে ভোগ+মালিকানাধীন সম্পত্তির নীট মূল্যের পরিবর্তন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংসার ও একক ব্যক্তিদের জন্য কর আইনে আয়কে একটি পঞ্জিকাবর্ষে যেকোনও পারিশ্রমিক, বেতন, মুনাফা, সুদ, ভাড়া বা অন্য কোনও রূপে অর্জিত অর্থ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। স্ববিবেচনাধীন আয় (Discretionary income) হল স্থূল আয় থেকে কর ও অন্যান্য বিয়োজন (যেমন বাধ্যতামূলক অবসরভাতা অবদান) এবং এটিকে ব্যাপকভাবে করদাতাদের সুখসমৃদ্ধি তুলনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
![অ্যাকাউন্টিং থিউরি এন্ড প্র্যাকটিস সূচিপত্র](https://financegoln.com/wp-content/uploads/2023/02/financegoln.com-google-news-গুগল-নিউজ.png)
জন অর্থশাস্ত্র ক্ষেত্রে আয় বলতে আর্থিক ও অর্থ-বহির্ভূত উভয় প্রকারের ভোগ করার সামর্থ্য বৃদ্ধি পাওয়াকে বোঝায়, এবং আর্থিক ভোগ করার সামর্থ্য বৃদ্ধিকে মোট আয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সমস্ত বিক্রয়লব্ধ আয় থেকে বিক্রয়কৃত পণ্য উৎপাদন ব্যয়কে বাদ দিয়ে স্থূল আয় (gross income) পাওয়া যায়। অন্যদিকে বিক্রয়লব্ধ আয় থেকে বিক্রয়কৃত পণ্য উৎপাদন ব্যয়, খরচ, অবচয়, সুদ ও কর বিয়োগ করলে নীট আয় পাওয়া যায়।
আয় ও ব্যয় এর প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
Read More: